ভবদিশ চন্দ্র,জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলায় সুমি রানী রায় (১৩) নামে এক কিশোরী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। রবিবার (১৮ মে) দুপুরে উপজেলার কাঠালী ইউনিয়নের হাগুড়ারডাঙ্গা কবিরাজপাড়া গ্রামে নিজ বাড়ির শয়নকক্ষে ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত সুমি রানী রায় ওই গ্রামের দিনমজুর রাজকুমার রায়ের মেয়ে। পরিবারের অভাব ঘোচাতে সুমি সৈয়দপুর ইপিজেডে একটি গার্মেন্টসে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। তবে ঘটনার তিন দিন আগ থেকে তিনি কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন না। পরিবার থেকে উৎসাহ দেওয়া সত্ত্বেও কেন তিনি হঠাৎ করে কাজে যাওয়া বন্ধ করেন, সে বিষয়ে কেউ কিছু বলতে পারেনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুমির বাবা কৃষি কাজ করেন এবং মা অন্যের বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ করে পরিবার চালান। পরিবারের সকলেই কাজে ব্যস্ত থাকার সুযোগে রোববার দুপুরে সুমি নিজ শয়নকক্ষে তীরের সঙ্গে রশি ঝুলিয়ে আত্মহত্যা করেন।
খবর পেয়ে জলঢাকা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নীলফামারী জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
জলঢাকা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আরজু মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন জানান, আত্মহত্যার সুনির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :