মোঃ দেলোয়ার হোসেন,কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ চিকিৎসক সংকটে ব্যাহত হচ্ছে কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবা। তাই জনবল সংকটে এভাবেই জোড়া তালি দিয়ে চলছে কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম। উপজেলা পরিসংখ্যান কার্যালয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলায় মোট জনসংখ্যা ৩ লাখের উপরে মানুষ বসবাস করে।যার সিংহ ভাগ মানুষের ভরসা এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দপ্তর সূত্রে জানা যায়, প্রথম শ্রেণীর মঞ্জুরীকৃত ২৮ টি পদ থাকলেও কর্মরত আছেন মাত্র নয়জন চিকিৎসক।স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে মেডিকেল অফিসারের পদ আছে ৯ টি কর্মরত আছে ৪ জন। আয়ুর্বেদিক ১ ডেন্টাল ১ জন। কনসালট্যান্ট ১১ জন থাকার কথা থাকলে ও আছে মাত্র ৪ জন।সার্জারী ১ জন, গাইনী ১ এ্যানেস্থেশিয়া ১ এবং অর্থোসার্জারী ১ জন।
এর ফলে বিভিন্ন জটিল রোগ নিয়ে আগত আন্তঃবিভাগ ও বর্হি বিভাগের রোগীদের ভরসা নার্স। আর জরুরী বিভাগে আগত রোগীদের কেউ উন্নত চিকিৎসা নিতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাচ্ছে। গরীব অসহায় রোগীরা ভিটা মাটি বিক্রয় করে রংপুর মেডিকলে কলেজ হাসপাতাল অথবা প্রাইভেট কোন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
সেবা নিতে আসা আব্দুল হামিদ, খায়রুল আলম,আব্দুল মতিন, স্মৃতি বেগম ও মরিয়ম বেওয়া বলেন, পরিপূর্ণ চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকায় আমরা অনেক কষ্ট ভোগ করছি। আমরা বিভিন্ন রোগ নিয়ে হাসপাতালে আসলে অনেক সময় ডাঃ না পেয়ে নার্স অথবা কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের ওপর চিকিৎসা নির্ভর থাকতে হচ্ছে। সঠিক মত পাচ্ছিনা রোগ নির্ণয় করার মত ভালো চিকিৎসক বা যন্ত্রপাতি। ভর্তি রোগীদের যেন একমাত্র নার্সরাই ভরসা। ভর্তি রোগী নিয়ে অনেক সময় হিমশিম খেতে হচ্ছে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ তানজিমুল হক মিল্লাতকে। তাই রোগীদের দুঃখ কষ্টও দুর্দশা উপলব্ধি করে এখানে চিকিৎসক পদায়ন জরুরি হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ নীল রতন দেব বলেন, আপাতত ক্ষুদ্র অপারেশন চালু আছে।বড় অপারেশনের মধ্যে হার্নিয়া, হাইড্রোসিল, অ্যাপেন্ডিসেকট চলমান আছে।নরমাল ডেলিভারী সিজার অপারেশন সহ মাতৃত্বকালীন সকল সেবা চালু আছে। চিকিৎসক সংকটের কারণে জোড়া তালি দিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা।উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার দিয়ে জরুরি বিভাগ সহ হাসপাতালের বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়া হচ্ছে।তবে জনবল সংকট কাটিয়ে না উঠলে স্বাস্থ্য সেবা মান কঠিন হয়ে যাবে।
আপনার মতামত লিখুন :