বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থেকেও নিয়মিত নেন দপ্তরি

মোঃ দেলোয়ার হোসেন,কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ গনেশ আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম প্রহরী মাসুম মিয়া তিন মাস ধরে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থেকেও বেতন ভাতা উত্তোলন করার অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে এখনো কোন ব্যবস্থা নেয়নি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে গনেশ আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি কাম প্রহরী পদে যোগদান করেন মাসুম মিয়া। তিনি যোগদান করার পর থেকে বিদ্যালয়ে বিভিন্ন সময়ে অনুপস্থিত ও সেচ্ছাচারিতা করে আসছেন। তবে গত তিন মাসে একদিনও বিদ‍্যালয়ে উপস্থিত না থেকেও প্রধান শিক্ষক আশেক আলীর যোগসাজশে তুলেছেন বেতন ভাতা এবং বিদ্যালয়ে উপস্থিত না থাকলে ও  সাক্ষর আছে হাজিরা খাতায়।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, এ বিদ্যালয়ের দপ্তরি মাসুম মিয়া গত তিন মাস ধরে স্কুলে আসেন না। তিনি স্কুলে আসলে আমরা তাকে অবশ্যই দেখতাম তবে তিন মাস ধরে স্কুলে দেখিনি। তবে শুনেছি স্কুলে উপস্থিত না থেকেও তিনি এখনো চাকরিতে বহাল তরিকায় আছেন ।তার সমস্ত দায়িত্ব নিয়েছেন প্রধান শিক্ষক নিজেই। শ্রেণী কক্ষ অফিস কক্ষ খোলা এবং বন্ধ করা সহ হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করা পর্যন্ত।

অভিযুক্ত মামুম মিয়ার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি গত তিন মাস ধরে স্কুলে ব্যাক্তিগত সমস্যার কারণে যেতে পারিনি তবে আমি এবিষয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে মৌখিক ভাবে ছুটি নিয়েছি।

ছুটির বিষয়টি প্রধান শিক্ষক আশেক আলী অস্বীকার করে বলেন, আমি ইতিমধ‍্যে উপজেলা শিক্ষা অফিসে তার বেতন ভাতা বন্ধের আবেদন করেছি। সে ছুটি ছাড়াই বেশ কিছু দিন ধরে স্কুলে অনুপস্থিত আছে।বেতন ভাতা বন্ধের আবেদনে প্রধান শিক্ষক উল্লেখ করেছেন গত ১২ মার্চ হতে অধ‍্যবধি স্কুলে  অনুপস্থিত কিন্ত গত দুই মাস (মার্চ-এপ্রিল) বেতন ভাতা উত্তোলন করলো কিভাবে এমন প্রশ্নের জবারে প্রধান শিক্ষক প্রতিবেদককে বলেন, প্রিভিয়াস ঘটনা বাদ দেন।সহকারী শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন বলেন, দপ্তরি স্কুলে আসে না এটা জানতে পেরেছি তবে গত ৮ মে প্রধান শিক্ষক তার বেতন ভাতা বন্ধের লিখিত অভিযোগ দিয়েছে।তদন্ত করে দেখবো।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ড. মোসা. মাহমুদা খাতুন বলেন, বিষয়টি ইতিমধ্যে জেনেছি। এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমী হক বলেন, তার বিরুদ্ধে ব‍্যবস্থা গ্রহণের জন‍্য শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দেয়া হচ্ছে।