সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর সৈয়দপুরে ভাড়াটিয়া মেরাজ কর্তৃক দোকান দখলের যড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। ৩০ এপ্রিল রাতে শহরের শিল্প সাহিত্য সংসদ মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় ওই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। দোকান মালিক শামসুন্নাহার এর ছেলে আরমান হোসেন বাদশা লিখিত বক্তব্যে জানান,দোকান ঘরটি তার মা প্রথমে মৌখিকভাবে মাসিক ৬ হাজার টাকা ভাড়ায় মেরাজ নামে পরিচিত একজনকে দেয়। ওই মেরাজ নিয়মমাফিক দোকান ভাড়া পরিশোধ করে আসছিল। এভাবে কেটে যায় দীর্ঘ সময়।
পরবর্তীতে নিয়ম অনুযায়ী ওই ভাড়াটিয়াকে লিখিত যুক্তিনামা এবং জামানতের জন্য মালিক পক্ষ তাগাদা দিলে ভাড়াটিয়া সময় ক্ষেপন করতে থাকে। এক পর্যায় দোকানের লিখিত চুক্তিনামা করা হয়। চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে তাকে আবারো নতুনভাবে চুক্তি করতে বলা হলে ভাড়াটিয়া পাশ কেটে যান। শুরু করেন তালবাহানা। এভাবে কেটে যায় বেশ কয়েক মাস। এরপর মালিক পক্ষ ভাড়াটিয়াকে দোকান ঘরটি ছেড়ে দেওয়ার জন্য বললে ওই ভাড়াটিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে তার সাঙ্গপাঙ্গ দিয়ে দোকান মালিককে হুমকী দিতে থাকে। প্রানে মেরে ফেলবে,মামলা করে জেলের ভাত খাওয়াবে এ ধরনের হুমকী দিতে থাকে। নিরুপায় হয়ে শান্তি প্রিয় দোকান মালিক অবশেষে দোকানটিকে তালা মেরে দেন। দোকান জটিলতার বিষয়টি মালিক পক্ষ স্বর্ণ ব্যবসায়ি মালিক সমিতিসহ সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অবহিত করেন।
এরই মধ্যে ভাড়াটিয়া মেরাজ অপপ্রচার চালায় তার ভাড়া করা দোকান নাকি লুট হয়েছে। এমন মিথ্যে অপপ্রচার করে এক সংবাদ সম্মেলনে। দোকান মালিক বাদশা বলেন,এ ধরনের কোন ঘটনা সৈয়দপুর স্বর্ণকার পট্টিতে ঘটেনি। এমন মিথ্যে অভিযোগ করে ভাড়াটিয়া মেরাজ দোকান মালিকের সুনাম ক্ষুন্নসহ সমাজে হেয় করতে ব্যতিব্যস্ত রয়েছে।তিনি আরো জানান,তার চাচা শাহীন ওই মিথ্যে যড়যন্ত্রের সাথে জড়িত।
এ অবস্থায় বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ালে মহামান্য আদালত কাগজপত্র সঠিক থাকায় দোকান মালিক শামসুন্নাহারের পক্ষে আদেশ দেয়।
আদালতের ওই আদেশ ভাড়াটিয়াকে অবগত করা হলে তিনি তা কর্ণপাত করছেন না বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দপুরের প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :