কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে থাই জুয়ারী ও অনার্স পড়ুয়া ছাত্র রাসেল ইসলাম কর্তৃক দশম শ্রেণী শিক্ষার্থী রিয়া আক্তার (ছদ্মনাম) ধর্ষিত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সে উপজেলার পুটিমারী ইউনিয়নের ভেড়ভেড়ী মাষ্টার পাড়া গ্রামের আইনুল হকে ছেলে। ভুক্তভোগী কিশোরী ভেড়ভেড়ী ডিএস দাখিল মাদরাসার দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী এবং একই এলাকার মোঃ হাফিজুল ইসলামের মেয়ে।
ভুক্তভোগীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, ভেড়ভেড়ী মাষ্টার পাড়া গ্রামের আইনুল হকের ছেলে থাই জুয়ারী রাসেল ইসলাম প্রায়ই সময় রিয়া আক্তার( ছদ্মনাম) মাদরাসা যাতায়াত কালে উত্তোক্ত করতঃ এবং মোবাইল ফোনে বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল।রিয়া আক্তার কোন ভাবেই দুষ্ট প্রেমিক রাসেলের প্রস্তাবে রাজি হয় নাই। অসহায় মা বাবার স্বপ্ন পূরণের প্রত্যয়ে লেখাপড়াই ছিল তার একমাত্র নেশা। সপ্তম শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় রাসেল ইসলামের উত্তাক্ত মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলছিল। এক সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে তাদের মধ্যে মন দেয়া নেয়া হয়। প্রেমের সম্পর্ক গভীর হতে থাকলে লম্পট রাসেল ইসলাম তার দুর্বলতার সুযোগ বুঝে বিয়ের মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে ভুক্তভোগীর বাড়ীতে এবং বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।ধর্ষিতা কিশোরী তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা হলে সে লম্পট প্রেমিক রাসেল ইসলামকে বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করলে টালবাহানা শুরু করে দেয়।তার শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন হলে তার প্রতিবেশী চাচীকে পুরো ঘটনা খুলে বলে।সেই বিষয়টি জানতে পেরে গত ১৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার প্রেমিক রাসেল ইসলাম তার প্রেমিকা রিয়া আক্তারকে( ছদ্মনাম) ডেকে সুকৌশলে জোড়পূর্বক বাচ্চা গর্ভপাতের ঔষধ সেবন করায়।পরদিন ১৬ আগস্ট শুক্রবার পেটের ব্যথা শুরু হলে ভুক্তভোগী কিশোরী রাসেল ইসলামের সাথে দেখা করতে বাড়ীতে যায় তার মা লাভলী বেগম রিয়া আক্তারকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বাড়ী থেকে বের করে দেয়।ধীরে ধীরে গর্ভপাতের ব্যথা বাড়তেই থাকে এক পর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হলে তার মা লাভলী বেগম ও বাবা হাফিজুল ইসলাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে তার অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্য চিকিৎসক রেফার্ড করিলে নীলফামারী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।চিকিৎসা শেষে সুষ্ঠ বিচারের দাবীতে গত ১৮ আগস্ট কিশোরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। লম্পট প্রেমিক রাসেল ইসলামের সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করে ও তাকে পাওয়া যায় নাই।
পরিবারের দাবী রাসেল ইসলাম একজন প্রখ্যাত থাই জুয়ারী।সে প্রবাসিদের নিঃস্ব করে অনেক টাকার মালিক বনে গেছে। সে টাকার গরমে এই ধরণের কর্মকান্ড করেছে। আমরা এর বিচার চাই।
এ বিষয়ে কথা হলে কিশোরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ পলাশ চন্দ্র মন্ডল বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছে।যাহার নং ৫, তারিখ ১৯/৮/২৪
দেলোয়ার হোসেন/কিশোরগঞ্জ/নীলফামারী
প্রতিষ্ঠাতা : মোঃ মারুফ হোসেন লিয়ন
নিবার্হী সম্পাদক: মোঃ ফিরোজ আহমেদ
মোবাইলঃ ০১৪০৬০৬৮১৪৫ & ০১৮৩৩৭৭৫৫৯৯ ইমেইলঃ [email protected] অফিসঃ শহীদ স্মরণী ডাক বাংলো মোড় সংলগ্ন,সৈয়দপুর নীলফামারী
Copyright © 2025 Saidpurer Alo. All rights reserved.