মোঃ সাহিদুল ইসলাম, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর ডোমার ফিলিং স্টেশনে রাখা তিনটি ট্রাক্টর আগুনে পুড়ে গেছে। ট্রাক্টরগুলো আইসার ৪৮০, ৪৮৫ ও নিউহল্যান্ড টিটি-৫৫ মডেলের।
শনিবার (৯ই ডিসেম্বর) ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ডোমার ফিলিং স্টেশনে ঘটনাটি ঘটে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যায়।
ডোমার ফিলিং স্টেশনের সত্ত্বাধিকারী ফরহাদ হোসেন জানান, ইঞ্জিনের শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হওয়ায় তিনটি ট্রাক্টরই পুড়ে গেছে। এবং আমার সিসি ক্যামেরাতেও তাই দেখা গেছে।
ট্রাক্টর মালিক আনজারুল ইসলাম জানান, গাড়িগুলো নিরাপত্তার জন্য পাম্পে রাখা হয়। কারণ, এখানে রাতে পাহারাদার ও সিসি ক্যামেরা লাগানো থাকায় আমাদের কোনো চিন্তা হয় না। বাড়িতে রাখলে মাঝে মধ্যে ব্যাটারী চুরি হওয়ার ভয় থাকে, তাই গাড়িটা পাম্পে রাখি। সন্ধ্যা ৬টার দিকে গাড়ি রেখে বাড়ীতে যাই। রাত সাড়ে তিনটার দিকে জানতে পারি গাড়িতে আগুন লেগেছে। আজকে আমার সব শেষ হয়ে গেল।
আরেকটি গাড়ির মালিক আব্দুল মালেক বলেন, আমার টিটি-৫৫ ইঞ্জিনটি কোম্পানি থেকে কিস্তিতে নেওয়া। বিভিন্ন এনজিওর কাছ থেকে প্রায় ৫ লাখ টাকা লোন নিয়ে কোম্পানিতে দিয়ে অবশিষ্ট টাকা বাকি রেখে গাড়িটি নিই। এই গাড়ীর উপর আমার সংসার চলে। ইঞ্জিনটি পুড়ে যাওয়ায় আমি নিঃস্ব হয়ে গেলাম।
এবিষয়ে পাহারাদার রতন ইসলাম বলেন, রাত আনুমানিক সাড়ে তিনটার দিকে হঠাৎ করে পাম্পে রাখা একটি গাড়ীর ইঞ্জিন চালু হয়। ইঞ্জিন চালুর সাথে সাথে ফায়ারিং হয়। আমি বন্ধ করতে না পারায় পাম্পে থাকা লিটন ও রাধা মোহনকে ডাকি। তারা সহকারে এসে দেখি ইঞ্জিনে আগুন জ্বলছে। আমরা অফিসের ভিতর থেকে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র নিয়ে আসি। তারপরও আগুন না কমায় ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে নেয়।
ডোমার ট্রাক্টর মালিক সমিতির সভাপতি হাবিবুর রহমান বাবু জানান, সট সার্কিট হয়ে এভাবে কোনোদিন ইঞ্জিনে আগুন লাগতে পারে না।
এব্যাপারে ডোমার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ-উন নবী বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের জন্য চেষ্টা চলছে।
প্রতিষ্ঠাতা : মোঃ মারুফ হোসেন লিয়ন
নিবার্হী সম্পাদক: মোঃ ফিরোজ আহমেদ
মোবাইলঃ ০১৪০৬০৬৮১৪৫ & ০১৮৩৩৭৭৫৫৯৯ ইমেইলঃ [email protected] অফিসঃ শহীদ স্মরণী ডাক বাংলো মোড় সংলগ্ন,সৈয়দপুর নীলফামারী
Copyright © 2025 Saidpurer Alo. All rights reserved.